শিয়ারজানি খালটি কংশ নদী হতে উৎপন্ন হয়ে প্রায় ০৮ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে ডিংগাপোতা হাওরে পতিত হয়েছে। খালটির পৌর এলাকায় অবস্থিত ০৩ কিলোমিটার এর মধ্যে ০২ কিলোমিটার অংশে উভয় পাড়ে নগরায়নের ফলে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা ও বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামো নির্মিত হয়েছে। মোহনগঞ্জ পৌরসভার নিজস্ব বর্জ ব্যবস্থাপনা অপ্রতুল এবং সেনেটারি সিস্টেম যথাযথ না থাকায় পৌর এলাকার সকল বর্জ শিয়ালজানি খালের ডাম্পিং হতো। দীর্ঘদিন এই প্রক্রিয়া চলায় খালটি একটি পৌর ডাস্টবিন কাম সেপ্টিক পরিনত হয় ফলে দুই পাড়ে অত্যন্ত দূর্গন্ধময় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। মশার উদ্রবে পৌরবাসী অতিষ্ট হয়ে পড়ে এবং নানাহ রোগব্যধিতে আক্রান্ত হয়।
এ অবস্থা থেকে উত্তরনের উদ্দেশ্যে এবং পৌর এলাকার পরিবেশের উন্নয়ন ও বিনোদনের মাধ্যম হিসাবে খালটিকে রূপান্তরিত করার জন্য মোহগঞ্জের উন্নয়নের রূপকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব জনাব সাজ্জাদুল হাসান মহোদয় বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডকে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহনের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। তৎপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকল্পটি বাস্তাবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। প্রকল্প সংলগ্ন খালের তীরে বসতবাড়ী, বাজার, বিদ্যালয়, মসজিদ, সরকারী স্থাপনা ও যাতায়তের জন্য রাস্তা বিদ্যমান রয়েছে। উল্লেখ্য যে, প্রকল্পভূক্ত খালের অধিকাংশ স্থান বেদখল অবস্থায় থাকায় এবং খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের ও বর্ষায় কংশ নদীর পানি শহরে প্রবেশ করে পৌর এলাকাটি প্লাবিত করে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ও পরিবেশের মারাতœক ক্ষতি সাধন করে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হলে খালটি দখলমুক্ত হবে এবং উভয় তীরে সিসি ব্লক দ্বারা আর্মাডকরণ করা হলে খালের তীরে ভাংগন রোধসহ ড্রেনেজ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক হবে এবং জলাবদ্ধতা দূর হয়ে শহরবাসীর জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হবে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস